বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে ও তাদের চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নিতে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছুটে যান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মু. দেলাওয়ার হোসাইন সহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এসময় নেতৃবৃন্দ অগ্নিদগ্ধে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সহ সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং অগ্নিকান্ডে নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করেন।
পরিদর্শনকালে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে চলছে। আমাদের দেশে অগ্নি নির্বাপনে এখনও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। নেই দুর্গতদের দ্রুত চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থাও। যা এক ধরনের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বহীনতা। তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের বিনামূল্যে যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। সেইসাথে এজাতীয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও এ জাতীয় দুর্ঘটনার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, এরপূর্বেও পুরান ঢাকার নিমতলীতে ২০১০ সালে ও চকবাজারে ২০১৯ সালে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় আবাসিক এলাকায় উচ্চমাত্রার দাহ্য পদার্থ মজুতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিলো অথচ তারপরেও আরমানিটোলায় কেমিক্যালের গোডাউনে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে চরম সমন্ধয়হীনতা ও সরকারের ব্যর্থতাই মূলত এর জন্য দায়ী। তিনি রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে অবিলম্বে পুরান ঢাকা থেকে দাহ্য পদার্থ ও কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর এবং ক্ষমতাসীন সরকার ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান সমূহকে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান।